সালমান শাহের মৃত্যুর তেইশ বছরেরও বেশী সময় পরে বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা পিবিআই নিশ্চিত করেছে যে ওই সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহকে ঢাকায় তাঁর বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে তার পরিবার এবং ভক্তদের অনেকেই দাবি করছিলেন যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় সর্বশেষ তদন্তটি করার দায়িত্ব পায় পিবিআই। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানায় যে একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে তারা নতুন তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
পুলিশ বলছে, তদন্ত করার ক্ষেত্রে সালমান শাহের দেহরক্ষী, মালী, প্রতিবেশী, বাড়ির কাজের সহকারীসহ অনেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
পিবিআই'র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, "এই সাক্ষীদের প্রত্যেকেই সেই সময় সালমান শাহের একজন সহশিল্পীর সাথে তার মেলামেশা করাকে পারিবারিক কলহের একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন"।
তবে সালমান শাহের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ ছিল পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
পুলিশ বলেছিল, অপমৃত্যুর মামলা তদন্তের সময় যদি বেরিয়ে আসে যে এটি হত্যাকাণ্ড, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলায় রূপ নেবে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় নায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে তখন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল পুরো দেশ।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ঘিরে যখন একের পর এক প্রশ্ন উঠতে থাকে, তখন পরিবারের দাবির মুখে দ্বিতীয়বারের মতো ময়না তদন্ত করা হয়। মৃত্যুর আটদিন পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে মামলার কাজ সেখানেই থেমে যায়।
পরে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে পিবিআই এই মামলা আবার তদন্তের কাজ শুরু করে।
১৯৯২ সালে 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ।
জনপ্রিয় একটি হিন্দি সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক ছিল 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত'। এ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই চলচ্চিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন সালমান।
No comments:
Post a Comment